• রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Who Are Jordanian Mail Order Brides? The Ultimate Guide To Dating Laotian Women ‘বিরসকাব্য’ হয়ে যায় ‘বউয়ের জ্বালা’! নাটকের উদ্ভট নাম নিয়ে মোশাররফ করিমের হতাশা ইয়াশ রোহানের প্রিয় অভিনেতা সেদিন টি–শার্ট পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন ইরফান বরাবরই আমরা রবীন্দ্রনাথের কাছে ফিরি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন এমিলি ভেবেছিলাম মরেই যাব, প্রতিদিন ৩০ ওষুধ ও ইনজেকশন নিতে হয়েছে : মৌনি রায় তবে কি অন্তঃসত্ত্বা দীপিকার সংসারে ভাঙনের সুর? সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ দিবস শাহিদ-কারিনার সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ইমতিয়াজ আলি নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন অসুস্থ বৃদ্ধ পাকুন্দিয়ায় জাল ভোট দেওয়ায় তিন জনকে সাজা

ঢাকার ১৬টি ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বন্যায় ভুগতে পারে

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি এখনো দুকূল ছাপিয়ে যায়নি। এখনো বিপৎসীমার কিছুটা নিচেই আছে। কিন্তু তার আগেই ঢাকার পূর্বাংশের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় বন্যার পানি চলে এসেছে। নন্দীগ্রাম, ত্রিমোহনী, বেরাইদ, সাঁতারকুলসহ ঢাকার এসব এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।

এ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। ফলে একদিকে শহরের ভেতরে বৃষ্টির পানি জমবে, অন্যদিকে নদীর পানি বন্যা হয়ে শহরে ঢুকবে। এই দুই মিলে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ঢাকার পূর্বাংশের ১৬টি ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসতি এলাকা বন্যায় ডুবতে পারে। মাসের বাকি সময়ে এই পানি নগরবাসীকে ভোগাতে পারে।

জানতে চাইলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এখন মূলত খালগুলো দিয়ে পানি আসছে। আর ঢাকার নিচু এলাকার নিষ্কাশন নালাগুলো সরাসরি নদীর সঙ্গে যুক্ত। বালু, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই নালাগুলো দিয়ে পানি নামতে পারছে না। বরং উল্টো সেখান দিয়ে পানি শহরের কিছু এলাকায় ঢুকে পড়ছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ঢাকার নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বন্যা ও জলাবদ্ধতার এই আশঙ্কার মধ্যে আরও ভয়ের কারণ হচ্ছে, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা সিটি করপোরেশন বন্যা মোকাবিলায় এখনো তেমন প্রস্তুতি নেয়নি। জমে থাকা পানি বসতি এলাকা থেকে সরানো, নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে এ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তাদের জন্য খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী প্রস্তুত করার কোনো কাজই এখনো সরকারি কোনো সংস্থা শুরু করেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বসব। তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করাসহ বন্যা মোকাবিলার উদ্যোগগুলো নিয়ে কথা বলব।’ তবে বন্যার পানি ঢুকে পড়লে তা বের করার মতো ব্যবস্থা এ বছর করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার নিচু এলাকাগুলোর উন্নয়নে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেটি বাস্তবায়িত হলে পূর্বাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।

ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোট পাঁচটি পাম্পস্টেশন আছে, যেগুলো দিয়ে ঢাকা থেকে জলাবদ্ধতার পানি বের করে দেওয়া হয়। আর বন্যা এলে সেগুলোর স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে পানি আসা ঠেকানো হয়। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে যাওয়ায় ওই স্টেশনগুলো চালু করা হয়েছে। কিন্তু ওই স্টেশনগুলো ঢাকার পশ্চিমাংশের পুরোটা ও পূর্বাংশের রামপুরা পর্যন্ত বন্যামুক্ত করতে পারে।

ঢাকাসহ দেশের ১৮ জেলায় এখন বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে প্রায় ২৫ লাখ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে, বাকিরা সড়ক ও বাঁধের ওপর অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সুনামগঞ্জ ও বগুড়া জেলা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মৌসুমি বায়ু আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতের চেরাপুঞ্জি, বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ এবং উত্তরাঞ্চলে গতকাল সারা দিন প্রায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও আগের দুই-তিন দিনের তুলনায় বেশি বৃষ্টি বেড়েছে। আগামী দুই-তিন দিনে বৃষ্টি ধারাবাহিকভাবে বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.